শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা: মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান কদমতলী। সিলেটের প্রবেশধার খ্যাত কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্ত¡র আজ অরক্ষিত রয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর কদমতলীতে পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনী এনে জমায়েত করে কদমতলী বঠগাছের স্থলে গুলিবর্ষন করে। এই স্থান থেকে নিয়ে পারাইচক লালমাটিয়া স্থানে গণকবর দেয়া হয়। ৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর কদমতলীকে হাক হানাদার মুক্ত করা হয়। সেই থেকে ১৩ ডিসেম্বরকে কদমতলী মুক্তদিবস পালন করা হয়। ইতিহাসের স্মৃতি রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধারে সম্মানে স্থাপিত মুক্তিযোদ্ধা চত্ত¡রটি আজ অবহেলিত ও অরক্ষিত হয়ে আছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষ দিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ডের কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্ত¡রটির সংস্কার ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু হয়। আজ পর্যন্ত এই কাজটি সম্পূর্ণ হয়নি। নকশা তৈরীর বিড়ম্বনায় কাজ আটকে আছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাতের দেখা যায়, ট্রাক, টেম্পো, মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে আছে। চত্বরে ১০ ইঞ্চি উচ্চতার যে ইটের বেষ্টনী দেওয়া রয়েছে, সেখানকার বেশ কিছু স্থানের ইট খসে পড়েছে। ভাসমান দোকান খোলে হর্কাররা ব্যবসা করছে। দেখলে বুঝার ক্ষমতা নেই এই স্থানটি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান।
স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর নির্মাণ করা হয়েছিল। এখানে চতুষ্কোণ একটি স্তম্ভ ছিল। দুই বছর আগে ওই এলাকার সড়কটি প্রশস্তকরণের জন্য সড়ক ও চত্বর ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। চত্বরের পাশের সড়কটি নির্মাণ করা হলেও চত্বরের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এরপর থেকেই স্থানটি অযতœ-অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা বহুমূখি সমবায় সমিতির মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহিদ খান বলেন, এখানে চতুষ্কোণ একটি স্তম্ভ ছিল, যা সিসিকের সংস্কারের জন্য ভাঙ্গা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা চত্বর নামে স্থানটির পরিচিতি সিলেটজুড়েই রয়েছে। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ চত্বর এভাবে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকাটা দুঃখজনক। সংস্কার না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস বলেন, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরটি নির্মাণ ছাড়া সব কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। চত্বরের জন্য নকশার কাজ চলতেছে। নকশা পেলেই চত্বরের কাজ দ্রুত শুরু হবে।